বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিকে ঘিরে আবারও উত্তপ্ত দেশ। আন্দোলন ঘিরে সিলেটের আখালিয়ায় প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালে দুর্বত্তদের গুলিতে একটি শিশু আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন পুলিশের এক সদস্য। শিশুকে পুলিশ সদস্যের বুকে জড়িয়ে ধরা ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
শুক্রবার (২ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। এদিন সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে হঠাৎ শিশুটি মাটিতে পড়ে যায়। কে বা কারা গুলি করেছে, দেখা যায়নি। শিশুটির নাম শফিক আলী। সে আখালিয়া বড়গুল এলাকার আমির আলীর ছেলে। এ সময় কেউ এগিয়ে না এলেও পুলিশ শিশুটিকে জাপটে বুকে জড়িয়ে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সন্ধ্যার পরপরই গুজব ছড়ানো হয় যে ছেলেটি মারা গেছে।
শিশুটিকে প্রথমে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে, পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সেখানে চিকিৎসাধীন সে। ওসমানী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সুস্থ আছে এবং সে আশঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ বলেন, আখালিয়ার ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারপরও একটা শিশু আহত হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ মানবিকতা পুলিশের মধ্যে সব সময় আছে।
এদিকে সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণপ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সরা দেশে ‘দোয়া ও গণ মিছিল’ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার শিকার হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী সুরমা এলাকা ও তেমুখী পয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এসে জড়ো হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়
ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধসহ ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি ও বেসরকারি ...
পাঠকের মতামত